শপিং কার্ট

শপিং ব্যাগ শূন্য!

কেনাকাটা শুরু করুন

স্বপ্ন কুটির হ্যান্ডিক্র্যাফট

২২/১২/২০২৩ ১১:১২৩৪

আমি নিহার সুলতানা ৷ নওগাঁ জেলার বদলগাছি থানার খাদাইল গ্রাম নিবাসী মীর জামাল উদ্দিনের কনিষ্ঠা কন্যা।

আমার বাবা কৃষি কাজের পাশাপাশি পাটের ব্যবসা করতেন ৷ ছোটবেলায় মাকে দেখেছি পাট দিয়ে শিকা তৈরি করে হাড়ি পাতিল ঝুলিয়ে রাখতেন। বাবা পাটের রশি বানাতেন। মাঝে মাঝে বাবার সাথে হাত মিলিয়ে সাহায্য করতাম ৷বাড়িতে বড় আপুরা সুঁই সুতার কাজ করে বিভিন্ন ধরনের ৷ জিনিস তৈরি করত ৷ এসব দেখে খুব ছোটবেলা থেকেই হাতের কাজের প্রতি আমার অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করতো এবং যাকে যখন যা তৈরি করতে দেখতাম সেটা শেখার প্রতি প্রচন্ড আগ্রহ কাজ করতো ৷

তাই প্রথম দিকে আপুদের কাছে কিছু সেলাই শিখি, তখন মাত্র প্রাইমারিতে পড়াশোনা করতাম, এরপর আমি যখনই কোথাও বেড়াতে যেতাম হাতের কাজের কোন কিছু চোখে পড়লেই বাসায় ফিরে তা তৈরি করার চেষ্টা করতাম নিজের মনের মতো করে ৷আর সেটা সম্পন্ন না করা পর্যন্ত হাল ছেড়ে দিতাম না ৷ কখনো কখনো পড়া তে ফাঁকি দিয়ে বসে হাতের কাজ সম্পন্ন করতাম ৷

২০০৩ সালে ছোট দুলাভাইয়ের পরামর্শেযুব উন্নয়ন অফিসে ভর্তি হয়ে চার মাস মেয়াদী হ্যান্ড এমব্রয়ডারি, টেইলারিং ও ব্লক বাটিকের উপরে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি ৷

এসবই করেছি শুধুমাত্র শখের বশে। প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার পর আমি কাপড় নিয়ে প্রথম দিকে কাজ শুরু করি।আর এই কাপড়ের ব্যবসার সুবাদে বিভিন্ন জায়গায় যখন ঘোরাফেরা করি তখনই পাটের আধুনিক জিনিসগুলোর উপরে নজর পড়ে ৷ তখন থেকে পাট নিয়ে ভাবতে শুরু করি ।

যেখানেই পাটের জিনিস দেখতাম বাসায় এসে ওইটা একটু ভিন্ন রূপ দিয়ে নতুন কিছু বানানোর চেষ্টা করতাম ৷ এবং সফলভাবে তার সম্পন্ন করতাম ৷ এর মাঝে একটা কথা বাদ পড়ে গেছে ২০০৮ সালে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডে উদ্দকনিক প্রকল্পে হ্যান্ড এমব্রয়ডারি প্রশিক্ষক হিসেবে আমার চাকরি হয় ৷